চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ও চন্দনাইশ উপজেলায় ব্রি ধান ৭২ এবং ব্রি ধান ৬২ এর শস্য কর্তন উপলক্ষ্যে মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়। জাত দুটোর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এরা জিংক সমৃদ্ধ। মাঠ দিবসে জাত দুটোর প্রধান বৈশিষ্ট্য, ফলন এবং বিদ্যমান শস্য বিন্যাসে অন্তর্ভূক্ত হলে কিভাবে কৃষক লাভবান হবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
লোহাগাড়া উপজেলার চুনতির বনপুকুরপাড়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব জয়নুল আবেদীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ মোঃ আমিনুল হক চৌধুরী, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম। প্রদশর্নীর চাষী জনাব মোস্তফা তার জমিতে ব্রি ধান ৭২ এর চাষাবাদের অভিজ্ঞতার কথা সকলের সামনে তুলে ধরেন। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, মানবদেহের বিভিন্ন কাজের সাথে জিংকের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। এ জাতের চালের ভাত খেলে তা শরীরের জিংকের ঘাটতি পূরনে অত্যন্ত সহায়ক হবে।
এ অনুষ্ঠানের আগে রাইস রিপারের সাহায্যে ধান কাটার মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয় এবং কৃষকদের রাইস রিপারের কার্যক্ষমতা সম্পর্কে অবহিত করা হয়। একটি রাইস রিপার দিয়ে মাত্র ১.৫ লিটার জ্বালানি খরচ করে ১ একর জমির ধান কাটতে সময় লাগে আনুমানিক দেড় ঘন্টা ।
একই দিন বিকেলে চন্দনাইশ উপজেলার বরমার ধামাইরহাটে ব্রি ধান ৬২ এর উপর একটি মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়। চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল জব্বার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসেও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ মোঃ আমিনুল হক চৌধুরী, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে স্বল্প জীবনকালের জিংক সমৃদ্ধ ধানের জিংক মানব দেহে কি প্রভাব ফেলে তার উপর বিস্তারিত আলোচনা ছাড়াও একই জমিতে এ জাতের ধান আবাদ শেষে শীতকালীন সবজি চাষও যে সম্ভব সে বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহবান জানান। চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল জব্বার চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে সকলকে নিত্য নতুন জাতের ধান আবাদের প্রতি মনযোগ দেবার অনুরোধ জানান এবং এ বিষয়ে প্রচার-প্রচারনা বৃদ্ধি করার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রতি আহবান জানান।
উল্লেখ্য, হারভেস্ট প্লাসের সহযোগিতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাঠ প্রদর্শণীর মাধ্যমে ব্রি উদ্ভাবিত জিংক সমৃদ্ধ জাত সমূহ সম্প্রসারণ করছে এবং পরবর্তী মৌসুমে এ জাতের বীজের প্রাপ্যতা কৃষক পর্যায়ে নিশ্চিত করার জন্য প্রদর্শনীর চাষীদের উৎপাদিত ধানের একটি নির্দিষ্ট অংশকে বীজ ধান হিসেবে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা গ্রহন করেছে।